খাওয়া-দাওয়ার পর নীল বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিল। বিশ্রাম করতে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে, সে নিজেই টের পায়নি।যখন তার ঘুম ভাঙল, ততক্ষণে সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকাল, বিকাল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হতে চলেছে।নীল হাত-মুখ ধোয়ার জন্য ডাইনিং রুমের বেসিনের দিকে রওনা দিল।
"ভাইয়া!" বিকট এক চিৎকার শোনা গেল।
ডাইনিংয়ের পাশেই বসার ঘর। বিকট আওয়াজটা ওদিক থেকেই এসেছে। নীল বসার ঘরের দিকে তাকালো। সে দেখল সাইফ তাকিয়ে আছে তার দিকে। সাইফ নীলের ছোট ভাই। সাইফের পরনে এখনো স্কুলের পোশাক, স্কুল থেকে বাসায় ফিরে নীলের আগমনের খবর শুনেই লাফালাফি এবং চিৎকার শুরু করেছিল, পারলে তখনই নীলের ঘরে ঢুকে নীলের ঘুম ভাঙ্গায়, দিদি অনেক কষ্টে তাকে আটকে রেখেছে।
"কেমন আছ?" নীল বসার ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল।
"আছি ভালোই, তুমি কেমন আছো?"
"এইতো।" বলে নীল সাইফকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু কোলে নিতে পারলো না। অনেক ওজন, সাইফ এমনিতে ও একটু মোটা।
"ভাইয়া, আমাকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করছো কেন? আমি এখন বড় হয়েছি, ক্লাস সিক্সে পড়ি। কোলে তো বাচ্চারা উঠে।" সাইফ বলল।
নীল অনেকটা ভুলেই গিয়েছিল যে সাইফ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। নীল মাথা চুলকাতে লাগল। আসলে বিগত দুই বছরের মধ্যে কত কিছুই ঘটেছে। আর নীল অনেকদিন সাইফকে দেখেনি বলে সে এখন ও সাইফকে সেই ছোট বাবুই মনে করেছিল।
" বুঝলাম ব্যাপারটা।" নীল প্রতিক্রিয়াবিহীন ভাবে বলল।
"নীল ভাইয়া, নীল ভাইয়া, তুমি অনেক পাল্টে গেছো।"
নীল ব্যাপক থতমত খেল। ছোট ভাইয়ের মুখে এই কথা শুনবে এ কথা সে ভাবতে ও পারেনি।
" তাই নাকি?" নীল প্রশ্ন করল।
"সাইফ ভুল বলেনি।"
নীল পেছনে ফিরে তাকালো। দিদি একটা গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে আছে। গ্লাসে ঠান্ডা শরবত, সাইফের জন্য বানিয়ে এনেছে।
"ও।" নীল নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল।
"আঁচল! দে গ্লাসটা!" সাইফ চেঁচিয়ে উঠল।
ওহ, বলাই হয় নি যে, দিদির নাম আঁচল। দিদিকে সাইফ তুই-তুই করে এবং নাম ধরেই ডাকে। আর নীলেরা তিন ভাই-এক বোন। আঁচল সবার বড়, এরপর নাঈম, এরপর নীল আর এরপর সাইফ। আর নাঈমের ব্যাপারে তো বলাই হয়নি, নাঈম একজন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার, লন্ডনে থাকে।
ঢক-ঢক করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শরবত শেষ করে দিদির হাতে গ্লাসটা ধরিয়ে দিল সাইফ।
"কিরে? হা করে তাকিয়ে দেখছিস কি? শরবত খাবি?" দিদি নীলকে জিজ্ঞেস করল।
"না।"
"কি যন্ত্রণা! খালি হ্যা, না, বুঝলাম, ও !!! তোর সমস্যাটা কোথায়?"
"সমস্যা? কিসের সমস্যা?
"বুঝছি। তোকে ডাক্তার দেখানো লাগবে। আজকেই আমি নাঈমের সাথে আলাপ করছি এই ব্যাপারে।"
"দেখতেসি ব্যাপারটা।"
দিদি চুপ হয়ে গেল। আর কথা না বাড়িয়ে দিদি রুম থেকে চলে গেল। অন্য দিকে সাইফ একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।
"ভাইয়া,আইফোন কি ভালো? আমি আজকে এই পকেমন কার্ডটা পেয়েছি, এটা কি পাওয়ারফুল? ভাইয়া,তুমি কি জাস্টিস লীগ মুভিটা দেখেছো?..............."
নীল অনেক কথাই শুনছে, আবার কিছুই শুনছে না, মাঝে মধ্যে হু-হ্যা আর না করছে। আবার ঘুম আসছে তার, কি আর আছে জীবনে? এই ঘুম ছাড়া?
#আঁচল_দিদি
#সাইফ
#নাঈম
#নীল
#নীলের_পরিবার
#আগমনী_৩
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
[[অয়ন আল মামুন]]
"ভাইয়া!" বিকট এক চিৎকার শোনা গেল।
ডাইনিংয়ের পাশেই বসার ঘর। বিকট আওয়াজটা ওদিক থেকেই এসেছে। নীল বসার ঘরের দিকে তাকালো। সে দেখল সাইফ তাকিয়ে আছে তার দিকে। সাইফ নীলের ছোট ভাই। সাইফের পরনে এখনো স্কুলের পোশাক, স্কুল থেকে বাসায় ফিরে নীলের আগমনের খবর শুনেই লাফালাফি এবং চিৎকার শুরু করেছিল, পারলে তখনই নীলের ঘরে ঢুকে নীলের ঘুম ভাঙ্গায়, দিদি অনেক কষ্টে তাকে আটকে রেখেছে।
"কেমন আছ?" নীল বসার ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল।
"আছি ভালোই, তুমি কেমন আছো?"
"এইতো।" বলে নীল সাইফকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু কোলে নিতে পারলো না। অনেক ওজন, সাইফ এমনিতে ও একটু মোটা।
"ভাইয়া, আমাকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করছো কেন? আমি এখন বড় হয়েছি, ক্লাস সিক্সে পড়ি। কোলে তো বাচ্চারা উঠে।" সাইফ বলল।
নীল অনেকটা ভুলেই গিয়েছিল যে সাইফ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। নীল মাথা চুলকাতে লাগল। আসলে বিগত দুই বছরের মধ্যে কত কিছুই ঘটেছে। আর নীল অনেকদিন সাইফকে দেখেনি বলে সে এখন ও সাইফকে সেই ছোট বাবুই মনে করেছিল।
" বুঝলাম ব্যাপারটা।" নীল প্রতিক্রিয়াবিহীন ভাবে বলল।
"নীল ভাইয়া, নীল ভাইয়া, তুমি অনেক পাল্টে গেছো।"
নীল ব্যাপক থতমত খেল। ছোট ভাইয়ের মুখে এই কথা শুনবে এ কথা সে ভাবতে ও পারেনি।
" তাই নাকি?" নীল প্রশ্ন করল।
"সাইফ ভুল বলেনি।"
নীল পেছনে ফিরে তাকালো। দিদি একটা গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে আছে। গ্লাসে ঠান্ডা শরবত, সাইফের জন্য বানিয়ে এনেছে।
"ও।" নীল নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল।
"আঁচল! দে গ্লাসটা!" সাইফ চেঁচিয়ে উঠল।
ওহ, বলাই হয় নি যে, দিদির নাম আঁচল। দিদিকে সাইফ তুই-তুই করে এবং নাম ধরেই ডাকে। আর নীলেরা তিন ভাই-এক বোন। আঁচল সবার বড়, এরপর নাঈম, এরপর নীল আর এরপর সাইফ। আর নাঈমের ব্যাপারে তো বলাই হয়নি, নাঈম একজন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার, লন্ডনে থাকে।
ঢক-ঢক করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শরবত শেষ করে দিদির হাতে গ্লাসটা ধরিয়ে দিল সাইফ।
"কিরে? হা করে তাকিয়ে দেখছিস কি? শরবত খাবি?" দিদি নীলকে জিজ্ঞেস করল।
"না।"
"কি যন্ত্রণা! খালি হ্যা, না, বুঝলাম, ও !!! তোর সমস্যাটা কোথায়?"
"সমস্যা? কিসের সমস্যা?
"বুঝছি। তোকে ডাক্তার দেখানো লাগবে। আজকেই আমি নাঈমের সাথে আলাপ করছি এই ব্যাপারে।"
"দেখতেসি ব্যাপারটা।"
দিদি চুপ হয়ে গেল। আর কথা না বাড়িয়ে দিদি রুম থেকে চলে গেল। অন্য দিকে সাইফ একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে।
"ভাইয়া,আইফোন কি ভালো? আমি আজকে এই পকেমন কার্ডটা পেয়েছি, এটা কি পাওয়ারফুল? ভাইয়া,তুমি কি জাস্টিস লীগ মুভিটা দেখেছো?..............."
নীল অনেক কথাই শুনছে, আবার কিছুই শুনছে না, মাঝে মধ্যে হু-হ্যা আর না করছে। আবার ঘুম আসছে তার, কি আর আছে জীবনে? এই ঘুম ছাড়া?
#আঁচল_দিদি
#সাইফ
#নাঈম
#নীল
#নীলের_পরিবার
#আগমনী_৩
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
[[অয়ন আল মামুন]]
No comments:
Post a Comment