অবশেষে ঘন্টাখানেক হাঁটার পর নীল তার বাসার গলিতে প্রবেশ করল।চিরচেনা সেই রাস্তা,এখন ও আগের মতই রয়েছে।পছন্দের সেই প্রিয় বেঞ্চটি এখন ও গলির ভিতরে এক পাশে পড়ে আছে।ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে লাগল নীল।ইতিমধ্যে তাকে দেখে কিছু আগ্রহী জনতা তার দিকে তাকিয়ে আছে।তাকানোটা স্বাভাবিক,হঠাৎ করে একদিন মিলিয়ে যাবার পর,অনেক দিক পর আবার হাজির হলে যে কেউ ব্যাপারটা নিয়ে উৎসাহী হবে।মনে প্রশ্ন জাগবে,এতদিন কোথায় ছিল?আবার কেউ কেউ কিছুই মনে করবে না।মিলিয়ে গেছে,মিলিয়ে যাক,আবার ফিরে আসলে আসুক,এ নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা নেই।নীল তার বাসার সামনে এসে কয়েক মুহূর্ত দাঁড়ালো।অনেক কিছুই মাথায় আসছে,অনেক কিছুই ভাবছে।
এমন মুহূর্তে নীলের বাসার দারোয়ান তার ঘর থেকে বের হল।সে নীলের দিকে একবার তাকাল,সাথে সাথে থমকে গেল।এবং প্রায় তার সাথে সাথে "নীল ভাই আসছে! নীল ভাই আসছে!" বলে চিৎকার করতে করতে বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে উপরে উঠতে লাগল।নীল অবাক হল না।শূন্য দৃষ্টিতে সে তার ঘরের বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুক্ষণ পর সে তার বাসার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে নিবে,এমন সময় প্রচন্ড ধুমধাম শব্দে একটি মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে প্রায় লাফাতে লাফাতে নামলো।নেমেই সে নীলের দিকে তাকালো, সাথে সাথে মেয়েটার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরল।মেয়েটি আর কেউ নয়,নীলের দিদি।নীল ও তার দিদির দিকে তাকিয়ে আছে।দিদি দৌড়ে এসে নীলকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল।কিছু মুহূর্ত পর অশ্রুসজল চোখে দিদি নীলের দিকে তাকালো।
"এতদিন কোথায় ছিলি?"
"ছিলাম,বাংলাদেশেই।"
"মানে?"
"মানে কিছু না,ঘুরে বেড়িয়েছি এখানে-সেখানে।"
"ঘর-বাড়ি ফেলে রেখে কেউ এভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়?'
"পৃথিবীতে ঘর পালানো লোকের অভাব নেই।"
"আমাদের কথা একবার ও মনে পড়ল না তোর?"
"তোমার কি তাই মনে হচ্ছে?"
"না হলে এতদিন বাসায় আসলি না কেন?"
"বললামই তো,ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।"
"তুই পাগল হয়ে গেছিস! তুই কি জানিস যে তোকে আমরা কত খুঁজেছি?"
"জানি।খবরের কাগজে নিখোঁজ সংবাদ দেখেছি, পুলিশ কেস ও করা হয়েছে শুনেছি।তোমরা এবং আমার বন্ধুরা আমাকে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে আমাকে খুঁজেছ সেটাও জানি।"
"এত কিছু জানলে ফিরে আসলি না কেন?"
"এমনি।"
"আচ্ছা,সব কিছুই জানবো।বুঝছি,তোকে মেরে তোর থেকে কথা আদায় করতে হবে।"
"আচ্ছা।"
"চল,উপরে চল।নাস্তা তো বোধহয় করিস নাই,আমি জানি।আমি নাস্তা বানিয়েছি,চল খাবি।"
"তোমার ভরসাতেই তো হোটেল-রেস্তোঁরায় খাইনি।"
"ভালো।"
"আমি জানি।"
এরপর নীল ও তার দিদি সিঁড়ি দিয়ে উঠা শুরু করল।বাসার দরজায় এসে দিদি থামলো,পিছনে নীল।
"নীল?"
"কি?"
"একটা কথা দিবি?"
"কি কথা আগে শুনি?"
"আর কখনও এভাবে হারিয়ে যাসনে।"
দিদি কাঁদো-কাঁদো গলায় বলল।নীল দিদির কথা শুনে মৃদু হাসলো।
"আচ্ছা।"
#দীর্ঘ_পথ_পাড়ি_দেওয়ার_পর
#ফিরে_আসা_আবার_সেখানে
#দিদি <3
#আগমনী
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
এমন মুহূর্তে নীলের বাসার দারোয়ান তার ঘর থেকে বের হল।সে নীলের দিকে একবার তাকাল,সাথে সাথে থমকে গেল।এবং প্রায় তার সাথে সাথে "নীল ভাই আসছে! নীল ভাই আসছে!" বলে চিৎকার করতে করতে বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে উপরে উঠতে লাগল।নীল অবাক হল না।শূন্য দৃষ্টিতে সে তার ঘরের বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুক্ষণ পর সে তার বাসার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে নিবে,এমন সময় প্রচন্ড ধুমধাম শব্দে একটি মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে প্রায় লাফাতে লাফাতে নামলো।নেমেই সে নীলের দিকে তাকালো, সাথে সাথে মেয়েটার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরল।মেয়েটি আর কেউ নয়,নীলের দিদি।নীল ও তার দিদির দিকে তাকিয়ে আছে।দিদি দৌড়ে এসে নীলকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল।কিছু মুহূর্ত পর অশ্রুসজল চোখে দিদি নীলের দিকে তাকালো।
"এতদিন কোথায় ছিলি?"
"ছিলাম,বাংলাদেশেই।"
"মানে?"
"মানে কিছু না,ঘুরে বেড়িয়েছি এখানে-সেখানে।"
"ঘর-বাড়ি ফেলে রেখে কেউ এভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়?'
"পৃথিবীতে ঘর পালানো লোকের অভাব নেই।"
"আমাদের কথা একবার ও মনে পড়ল না তোর?"
"তোমার কি তাই মনে হচ্ছে?"
"না হলে এতদিন বাসায় আসলি না কেন?"
"বললামই তো,ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।"
"তুই পাগল হয়ে গেছিস! তুই কি জানিস যে তোকে আমরা কত খুঁজেছি?"
"জানি।খবরের কাগজে নিখোঁজ সংবাদ দেখেছি, পুলিশ কেস ও করা হয়েছে শুনেছি।তোমরা এবং আমার বন্ধুরা আমাকে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে আমাকে খুঁজেছ সেটাও জানি।"
"এত কিছু জানলে ফিরে আসলি না কেন?"
"এমনি।"
"আচ্ছা,সব কিছুই জানবো।বুঝছি,তোকে মেরে তোর থেকে কথা আদায় করতে হবে।"
"আচ্ছা।"
"চল,উপরে চল।নাস্তা তো বোধহয় করিস নাই,আমি জানি।আমি নাস্তা বানিয়েছি,চল খাবি।"
"তোমার ভরসাতেই তো হোটেল-রেস্তোঁরায় খাইনি।"
"ভালো।"
"আমি জানি।"
এরপর নীল ও তার দিদি সিঁড়ি দিয়ে উঠা শুরু করল।বাসার দরজায় এসে দিদি থামলো,পিছনে নীল।
"নীল?"
"কি?"
"একটা কথা দিবি?"
"কি কথা আগে শুনি?"
"আর কখনও এভাবে হারিয়ে যাসনে।"
দিদি কাঁদো-কাঁদো গলায় বলল।নীল দিদির কথা শুনে মৃদু হাসলো।
"আচ্ছা।"
#দীর্ঘ_পথ_পাড়ি_দেওয়ার_পর
#ফিরে_আসা_আবার_সেখানে
#দিদি <3
#আগমনী
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
No comments:
Post a Comment