অপেক্ষায় --- অয়ন আল মামুন

বাংলায় নেমে এসেছে "গরম" নামক এক বিভীষিকা।শোনা যায়,বিগত কিছু বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে এই বছরের তাপমাত্রা। সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের অনুভূতি অনেকটা গলে যাবার মত।গরমে সিদ্ধ বাঙালি, তবু কেউ কেউ বের হয় জীবিকার তাড়নায়,কেউ বের হয় ঘুরে বেড়াতে,আবার কেউ বাসায় বসে থাকে।যারা বাসায় বসে থাকে তারা হয়তো ঘুমিয়ে থাকত,কিন্তু গরমের কারণে শান্তি মত ঘুমানোর অবকাশ নেই।আবার দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও যথেষ্ট প্রকট।এমনিতেই গরম সহ্য হয় না আবার এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘরের পাখাটা ও চালানো যায় না।কেউ আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে বারান্দায় অথবা ছাদে গিয়ে বসে থাকে।আবার অনেকে টংয়ে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা মারে।সকলেরই উদ্দেশ্য শীতল বাতাস খাওয়া।তবে এ ঘটনাগুলো সন্ধ্যাবেলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক,কোন পাগলই সূর্যের প্রখর তাপে দিনের বেলা ছাদ-টংয়ে বসে থাকবে না।
তখন আনুমানিক রাত ৮ টার মত বাজে।নীল বারান্দায় বসে আছে।কিন্তু বাতাস খাওয়ার প্রত্যাশায় নয়।সে তাকিয়ে আছে শূণ্যের দিকে।তার দৃষ্টিও শূণ্য।কি যেন ভাবছে উদাসীন মনে।কি যে ভাবছে তা সে নিজেও জানে না।
"ভাইয়া।"
নীলের ছোট ভাই বারান্দায় এসেছে।সে ও গরমে অতিষ্ঠ।
নীল আনমনেই জবাব দিল, "হু?"
"এখানে বসে বসে কি করছ?"
"জাস্ট ওয়েটিং ফর মাই ফিউচার।"
"মানে?বারান্দায় বসে বসে আবার ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করে কিভাবে?"
"বুঝবে না।তুমি এখনও বাবু।"
"আমার মনে হয় তোমার মাথার স্ক্রু ঢিলা হয়ে গেছে।"
"হতেই পারে।"
বলে নীল আবার শূণ্যের দিকে তাকালো।বাচ্চাটা মনে হয় ভুল বলেনি।আসলেই তার মাথা বিগড়ে যাচ্ছে।তবে ওকে ধন্যবাদ,কথাটা তার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য।ব্যাপারটা এমনিতে হয়তো তার মাথায় আসত না।ব্যাপারটা আসলেও চিন্তার বিষয়।অবসর সময়ে ভেবে দেখতে হবে।আপাতত এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই।শূণ্য দৃষ্টিতে আকাশের তারা গোনা শুরু করল নীল।রাতটা এখনও অনেক বাকি।
‪#‎আকাশের_তারা_মিটমিট_করে_জ্বলছে‬
‪#‎পুরনো_স্মৃতিগুলো_যেন_উড়ে_উড়ে_বেড়াচ্ছে‬
‪#‎হতাশাময়_জীবন‬
‪#‎অপেক্ষায়‬

Unknown

লেখক ... .

No comments:

Post a Comment