নীলিমা রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে
লাগল...
ধ্যাত,কেন যে এতো কিছু
বলতে গেলাম? ছেলেটির সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি।
আর আমি কি ছেলেটিকে ভালবাসি?
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে লাগল নীলিমা । আর তা যদি না হয়,তাহলে ছেলেটির জন্য তার এখন এত খারাপ লাগছে কেন?
কালকে গিয়ে তার কাছে অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে নিব। এবং কেন জানি নীলিমার বার বার মনে
হতে লাগল অরণ্য সে অনেক অনেক
ভালবেসে ফেলেছে।
এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে
নীলিমা ঘুমিয়ে পরে বলতেই পারে না।
যেই ভাবা সেই কাজ...
পরের দিন নীলিমা একটি হলুদ শাড়ি,হাতে কাঁচের চুরি,খোপায় বেলি ফুলের মালা পড়ে একটু আগে আগেই পার্কের যে সিটটায় অরণ্য বসে ঠিক তার পাশের সিটে বসে অরণ্যের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। আজকে কেন জানি সময় যাচ্ছিল না।
হঠাৎ নীলিমা দেখল অরণ্য আসছে। কিন্তু
আজকে অরণ্যকে কেন জানি অসুস্থ
দেখাচ্ছিল। অরণ্য এসে দেখে তার সেই
চিরচেনা জায়গার পাশেই নীলিমা বসে
আছে। অরণ্য বেশ অবাক হল।
মনে মনে ভাবতে লাগল আজকে না
জানি কি কি করে। তাই অরণ্য আবার ঘুরে
চলে যেতে লাগল।
নীলিমা দৌড়ে তার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে নরম গলায় বলল,
নীলিমা : আমি আসলে কালকের
ব্যবহারের জন্য সরি। আর একটা কথা
আজকে আপনাকে বলতেই হবে,আপনার
কি সমস্যা? আচ্ছা থাক আপনার কিছুই
বলতে হবে না। আমিই বলছি, আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি।
কিছুক্ষণ নীরবতা
অরণ্য : দেখুন আমাকে ভালবাসলেও কোন
আপনার লাভ হবে না। কারণ আমি আমার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে কাওকে
জড়াতে চাই না।
নীলিমা : (কাঁদো কাঁদো গলায়) কেন? আপনি কি এখনো আমার উপর রেগে আছেন? এখনো কি আমাকে ক্ষমা করেন নি? আমাকে বলুন প্লিজ।
অরণ্য : আমি কাউকেই আমার জীবনের সাথে জড়াতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়েই থাকি। ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে চাই না। উল্টা আপনি এই হতাশ হবেন আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়লে। এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি কারো জন্য নিজে পরিবর্তন হতে পারবো না।
কিছুক্ষণের জন্য দুজনই নির্বাক হয়ে রইলো।
নীলিমা : আর এজন্যই আপনি আমাকে
এতদিন এড়িয়ে চলেছেন?
অরণ্য : হুম,মনে হয়।
নীলিমা : আমাকে একটা সুযোগ দিবেন?
প্লিজ।আমি আপনাকে খুব খুব খুব ভালবাসব। কখনো ছেড়ে যাবো না।
অরণ্য কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো।
কিন্তু নীলিমা তাকে কিছু বলার সুযোগ
না দিয়েই অরণ্যকে জড়িয়ে ধরল।
লাগল...
ধ্যাত,কেন যে এতো কিছু
বলতে গেলাম? ছেলেটির সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি।
আর আমি কি ছেলেটিকে ভালবাসি?
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতে লাগল নীলিমা । আর তা যদি না হয়,তাহলে ছেলেটির জন্য তার এখন এত খারাপ লাগছে কেন?
কালকে গিয়ে তার কাছে অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে নিব। এবং কেন জানি নীলিমার বার বার মনে
হতে লাগল অরণ্য সে অনেক অনেক
ভালবেসে ফেলেছে।
এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে
নীলিমা ঘুমিয়ে পরে বলতেই পারে না।
যেই ভাবা সেই কাজ...
পরের দিন নীলিমা একটি হলুদ শাড়ি,হাতে কাঁচের চুরি,খোপায় বেলি ফুলের মালা পড়ে একটু আগে আগেই পার্কের যে সিটটায় অরণ্য বসে ঠিক তার পাশের সিটে বসে অরণ্যের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। আজকে কেন জানি সময় যাচ্ছিল না।
হঠাৎ নীলিমা দেখল অরণ্য আসছে। কিন্তু
আজকে অরণ্যকে কেন জানি অসুস্থ
দেখাচ্ছিল। অরণ্য এসে দেখে তার সেই
চিরচেনা জায়গার পাশেই নীলিমা বসে
আছে। অরণ্য বেশ অবাক হল।
মনে মনে ভাবতে লাগল আজকে না
জানি কি কি করে। তাই অরণ্য আবার ঘুরে
চলে যেতে লাগল।
নীলিমা দৌড়ে তার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে নরম গলায় বলল,
নীলিমা : আমি আসলে কালকের
ব্যবহারের জন্য সরি। আর একটা কথা
আজকে আপনাকে বলতেই হবে,আপনার
কি সমস্যা? আচ্ছা থাক আপনার কিছুই
বলতে হবে না। আমিই বলছি, আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি।
কিছুক্ষণ নীরবতা
অরণ্য : দেখুন আমাকে ভালবাসলেও কোন
আপনার লাভ হবে না। কারণ আমি আমার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে কাওকে
জড়াতে চাই না।
নীলিমা : (কাঁদো কাঁদো গলায়) কেন? আপনি কি এখনো আমার উপর রেগে আছেন? এখনো কি আমাকে ক্ষমা করেন নি? আমাকে বলুন প্লিজ।
অরণ্য : আমি কাউকেই আমার জীবনের সাথে জড়াতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়েই থাকি। ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে চাই না। উল্টা আপনি এই হতাশ হবেন আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়লে। এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি কারো জন্য নিজে পরিবর্তন হতে পারবো না।
কিছুক্ষণের জন্য দুজনই নির্বাক হয়ে রইলো।
নীলিমা : আর এজন্যই আপনি আমাকে
এতদিন এড়িয়ে চলেছেন?
অরণ্য : হুম,মনে হয়।
নীলিমা : আমাকে একটা সুযোগ দিবেন?
প্লিজ।আমি আপনাকে খুব খুব খুব ভালবাসব। কখনো ছেড়ে যাবো না।
অরণ্য কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো।
কিন্তু নীলিমা তাকে কিছু বলার সুযোগ
না দিয়েই অরণ্যকে জড়িয়ে ধরল।
No comments:
Post a Comment