গত দু'দিন ধরে আবহাওয়া মোটামুটি বেশ ভালো।খুব মনোরম,নির্মল বলা চলে।অন্তত বিগত কয়েকদিন আগের মত কাঠ ফাটা রোদ নেই। দিনের বেলা কিঞ্চিৎ রোদ থাকলে ও সে প্রায়ই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।সুন্দর বাতাস ও বয়ে বেড়ায়।দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি ও পড়ে।কিন্তু এই বৃষ্টি মোটেও প্রশান্তিময় নয়,কাঙ্ক্ষিত নয়।সূর্যাস্তের পর পরিবেশটা আরো চমৎকার হয়ে উঠে।যদিও তীব্র বাতাসের কারণে প্রচুর ধূলা-বালি উড়ে,তবু ও একেবারে খারাপ লাগে না।
তখন রাত প্রায় ৮ টার মত বাজে।নীল হেঁটে যাচ্ছে সরু একটি রাস্তা দিয়ে।গন্তব্য বাসার দিকে।সে বেশ চিন্তিত।কারণ সে আজ কিছু চরম এবং নির্মম বাস্তবের সম্মুখীন হয়েছে।সে অনুভব করছে জীবন কতটা কঠিন।আশেপাশে কত সুন্দর অট্টালিকা,রেস্তোরাঁ, যানবাহন,ফেরিওয়ালার সমাহার,অথচ সে কোন কিছুই খেয়াল করছে না।আসলে কোন কিছু উপভোগ করার মন-মানসিকতা নেই তার।নীলের বরাবর সামনে একটি ছোট মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে।রাস্তাটার ফুটপাত বেজায় সরু হওয়ায় তাকে পার হয়ে গিয়ে হাঁটতে ও পারছে না নীল।সে বাধ্য হয়ে মেয়েটির পিছনে ধীর গতিতে হাঁটছে।নীলের পিছনে ও এর মধ্যে দুই-চারজন পথচারী আটকা পড়েছে।নীল প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছে।চেহারা দেখে মনে হচ্ছে রাগে ফেটে পড়তে পারে যে কোন সময়।অনেক চেষ্টা করার পর,কিছু সময় পরে সে মেয়েটাকে পার হয়ে গেল।কিন্তু পার হয়ে যাবার সময় সে যা লক্ষ করল,তা দেখে সে বিস্মিত হল।সে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল সেখানেই।মেয়েটা অন্ধ।নীলের এতক্ষণ যত রাগ,বিরক্তি ছিল তা সব মুহূর্তে হারিয়ে গেল,তার বদলে মনে জায়গা নিল তীব্র অনুশোচনা।কোন কিছু না জেনে,না বুঝে কারো উপর বিরক্তি-রাগ প্রকাশের অধিকার কারো নেই।নীলের প্রচন্ড খারাপ লাগল ঘটনাটা।তার মনে হল,সে আজ যে চরম সত্য এবং বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে,তা ওই মেয়েটির প্রতিনিয়ত লড়ে আসা বাস্তবতার কাছে কিছুই নয়।কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে একটু পর পর ব্যাপক আলোর সৃষ্টি হচ্ছে।এ কারণে নীল প্রায়ই সন্দিহান হয়ে পড়ছে যে,এখন দিন নাকি রাত?আচ্ছা মেয়েটি কি কখনো দেখেছে বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য?দেখেছে কি কখনো জীবনের রং?সেটা হয়তো আর কখনো জানা ও হবে না।ব্যাপারটা মনের মধ্যেই রয়ে গেল অনুশোচনা হয়ে।
#জীবনের_চরম_সত্য
#নির্মম_বাস্তব
#অনুতপ্ততা
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
তখন রাত প্রায় ৮ টার মত বাজে।নীল হেঁটে যাচ্ছে সরু একটি রাস্তা দিয়ে।গন্তব্য বাসার দিকে।সে বেশ চিন্তিত।কারণ সে আজ কিছু চরম এবং নির্মম বাস্তবের সম্মুখীন হয়েছে।সে অনুভব করছে জীবন কতটা কঠিন।আশেপাশে কত সুন্দর অট্টালিকা,রেস্তোরাঁ, যানবাহন,ফেরিওয়ালার সমাহার,অথচ সে কোন কিছুই খেয়াল করছে না।আসলে কোন কিছু উপভোগ করার মন-মানসিকতা নেই তার।নীলের বরাবর সামনে একটি ছোট মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে।রাস্তাটার ফুটপাত বেজায় সরু হওয়ায় তাকে পার হয়ে গিয়ে হাঁটতে ও পারছে না নীল।সে বাধ্য হয়ে মেয়েটির পিছনে ধীর গতিতে হাঁটছে।নীলের পিছনে ও এর মধ্যে দুই-চারজন পথচারী আটকা পড়েছে।নীল প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছে।চেহারা দেখে মনে হচ্ছে রাগে ফেটে পড়তে পারে যে কোন সময়।অনেক চেষ্টা করার পর,কিছু সময় পরে সে মেয়েটাকে পার হয়ে গেল।কিন্তু পার হয়ে যাবার সময় সে যা লক্ষ করল,তা দেখে সে বিস্মিত হল।সে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল সেখানেই।মেয়েটা অন্ধ।নীলের এতক্ষণ যত রাগ,বিরক্তি ছিল তা সব মুহূর্তে হারিয়ে গেল,তার বদলে মনে জায়গা নিল তীব্র অনুশোচনা।কোন কিছু না জেনে,না বুঝে কারো উপর বিরক্তি-রাগ প্রকাশের অধিকার কারো নেই।নীলের প্রচন্ড খারাপ লাগল ঘটনাটা।তার মনে হল,সে আজ যে চরম সত্য এবং বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে,তা ওই মেয়েটির প্রতিনিয়ত লড়ে আসা বাস্তবতার কাছে কিছুই নয়।কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে একটু পর পর ব্যাপক আলোর সৃষ্টি হচ্ছে।এ কারণে নীল প্রায়ই সন্দিহান হয়ে পড়ছে যে,এখন দিন নাকি রাত?আচ্ছা মেয়েটি কি কখনো দেখেছে বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য?দেখেছে কি কখনো জীবনের রং?সেটা হয়তো আর কখনো জানা ও হবে না।ব্যাপারটা মনের মধ্যেই রয়ে গেল অনুশোচনা হয়ে।
#জীবনের_চরম_সত্য
#নির্মম_বাস্তব
#অনুতপ্ততা
#হঠাৎ_তোমার_জন্য
No comments:
Post a Comment