নীল হিমু

অনেকদিন হল রাতে ভ্রমনে বের হই না।
হুমায়ুন স্যারের হিমু পড়ার পর থেকে এই
অভ্যাসের সৃষ্টি।ঠিক করলাম আজ
সারারাত ঘুরব।রাতে বের হয়ে হাটা
দিলাম।কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহর এখন
নিস্তব্ধ।মোড়ে মোড়ে কিছু
রিক্সাচালক একত্রে গল্প করছে আর
সিগারেটের ধোয়ার সাহায্যে মশার
হাত থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা
চলছে।ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে নিঃস্ব
মানুষগুলো।হাটতে হাটতে পৌছে
গেলাম শাহবাগ।চায়ের তৃষ্ণা
পেয়েছে।একটা চায়ের দোকানে
ঢুকলাম,এক কাপ চা আর ২ টা বিস্কুটের
অর্ডার দিলাম।চা আর বিস্কুট চলে
এল,কিন্তু দোকানদার আমার দিকে
কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি
বিস্কুট ২টা চায়ের কাপে গলিয়ে
চায়ে চুমুক দিলাম এবং দ্রুত চা শেষ
করে টাকা দিয়ে কোনো প্রশ্ন করার
সুযোগ না দিয়ে বের হয়ে গেলাম।
জানি দোকানী এখন আমার কর্মকান্ড
নিয়ে চিন্তা করছে।রাত প্রায়
শেষ,ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে।
রমনা পার্কে ঢুকলাম।কিছু দূরে বেলী
গাছের নিচে কিছু পথশিশু বেলীফুলের
মালা বানাচ্ছে।আমি তাদের কাছে
গেলাভ,তাদের কাছে কিছু সুতা আর
একটি সুই চাইলাম।তারা একটু বিরক্ত হল
তাও আমাকে সুই,সুতা দিলো।আমি
তাদের সাথে মালা বানানোর
কাজে যোগদান করলাম।৬টা মালা
বানালাম।তারা ৩ জন ছিল ২টা করে
মালা প্রত্যেকে দিয়ে আবার হাটা
ধরলাম।জানি শিশুগুলো আমার
কর্মকান্ডে হতবাক এবং খুশিও হয়েছে।
হুম আমার কাজর্কম হিমুর মত।হবে না
কেন?আমার গুরু যে হুমায়ূন স্যার।কিন্তু
আমি হিমু না।আমি হলাম আমার আমি।
আমি হলাম কিংশুক।
উৎসর্গ :আমার বন্ধুবর কিংশুক।নীল হিমু।

Unknown

লেখক ... .

No comments:

Post a Comment