বিকেলে পার্কের বেঞ্চে বসে আছি। বৃষ্টি হবে হবে এমন অবস্থা। আকাশে কালো মেঘের ঘনছটা।
নীলিমা হুট করেই
বলল,"এই ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে।যাও
নিয়ে আসো।"
পার্কে খুজে দেখতে লাগলাম ফুচকাওয়ালাকে পাওয়া যায় কিনা। পুরোটা পার্ক ঘুরে ফুচকা বিহীন হাতে নীলিমার সামনে এসে
দাড়ালাম।
নীলিমা : কই? ফুচকা নিয়ে আসলে না যে?
অরণ্য : পুরো পার্ক খুজে পাই নাই। খুজতে
খুজতে আমি ক্লান্ত।
নীলিমা : আমি কিচ্ছু জানি না। আমাকে ফুচকা এনে দিতেই হবে। পার্কের বাহিরে গিয়ে
খুঁজো পেয়ে যাবে।
অরণ্য : আমি এখন যেতে পারব না। খুব
ক্লান্ত লাগছে বললাম না।
নীলিমা : তুমি সবসময় এমন করো। আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলো।
অরণ্য : আরে পার্কের আশেপাশেও কোনো ফুচকার দোকান নাই।
নীলিমা : চুপ করো। থাক তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না। ফুচকা খাবো না।
নীলিমা অভিমান করেছে। এটাকে অভিমান
বলা যাবে না রাগ বলতে হবে। অভিমান
জিনিসটা একটু ঢঙ্গী হয়। যাই হোক রাগ
ভাঙ্গাতে যাব না,তাহলে ঢং শুরু হবে।
মেয়েদের ঢং দেখতে একটুও ভাল্লাগে না।
তাই উঠে দাঁড়িয়ে হাটা শুরু করলাম।
নীলিমা : এই কোথায় যাও? (কাঁদো কাঁদো স্বরে)
অরণ্য : চলে যাচ্ছি।
নীলিমা : চলে যাচ্ছ মানে? আমি রাগ করে
বসে আছি। কোথায় তুমি আমার রাগ ভাঙ্গাবে,তা না করে বরং তুমি আমাকে রেখেই চলে যাচ্ছ।
অরণ্য : হ্যা,তুমি বসে থাক তোমার রাগ নিয়ে।
আমি গেলাম।
আরো জোড়ে হাটা শুরু করলাম। পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি নীলিমাও আমার পিছু পিছু আসতেছে। বেচারি হীল পড়ে হাটতে পারছে না তারপরও আমাকে ধরার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
পার্ক থেকে বের হয়ে ডানে-বামে না তাকিয়েই
হাটা শুরু করলাম।
নীলিমা : এই দাড়াও প্লিজ। আমি হাটতে পারছি না। রিক্সা নাও প্লিজ।
অরণ্য : হীল পড়ে হাটা যায় নাকি? জুতা
খুলে হাঁটো।
জানি মেয়েটা খুব জেদি। তাই হাতে জুতা নিয়েই আমার পিছু নিলো।
কিছুটা পথ এগুতেই হটাৎ বৃষ্টি শুরু হলো, সাথে মেঘ ফাটা বজ্রপাত।
পিছনে তাকিয়ে দেখি আসলে বজ্রপাত এর থেকে উচ্চস্বরে নীলিমা চিৎকার করছে।
মেয়েটা কালো আধারের মাঝে ঘন বর্ষনকে
ভয় পেয়েছে।
তাই তাড়াতাড়ি নীলিমার কাছে গেলাম। নীলিমার হাতটা ধরলাম।
চারদিকে নীরবতা। বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে নীলিমার সকল অভিমান আর রাগ।
নীলিমা : তুমি আমাকে ফেলে আসতে পারলে? (অভিমানী কন্ঠে)
অরণ্য : সরি। আর ভুল হবে না দেখো কানে ধরছি।
নীলিমা : হু বুঝেছি। আর তুমি আমাকে মিথ্যে বললা কেন? পার্কের বাহিরেই তো ফুচকার
দোকান ছিল।
অরণ্য :আরে পাগলী,আমি যদি ফুচকা কিনে নিয়ে যেতাম তাহলে তুমি পার্কে বসে ফুচকা খেতে। আর আমি যদি রাগ করে হাঁটা না দিতাম তাহলে তুমি এখন দোকানে ঢুকে
ফুচকা খেতে।
তাহলে এমন বৃষ্টি ভেজা মনোরম সন্ধ্যায় ভিজতে পারতে? তাও আবার দুজন একসাথে ভেজার সুযোগ। যেটা তুমি সবসময় চাও।
নীলিমা : আসলেই তো।
নীলিমা আমার বুকে লজ্জায় মুখ লুকায়। আমি ওকে শক্ত করে বুকে চেপে ধরে নিঃশব্দে হাসতে থাকি।
মনে মনে বলি,"বেঁচে গেছি আজ। ভাগ্যিস বৃষ্টি পরা শুরু হইসিলো। কারন আজ
মানিব্যাগটাই বাসায় ফেলে রেখে
এসেছি।"
এখন দুজন বৃষ্টিতে ভিজব আর হাটব।
ফুচকাও খেতে হবে না,রিক্সায় ও উঠতে হবে না।
নীলিমা হুট করেই
বলল,"এই ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে।যাও
নিয়ে আসো।"
পার্কে খুজে দেখতে লাগলাম ফুচকাওয়ালাকে পাওয়া যায় কিনা। পুরোটা পার্ক ঘুরে ফুচকা বিহীন হাতে নীলিমার সামনে এসে
দাড়ালাম।
নীলিমা : কই? ফুচকা নিয়ে আসলে না যে?
অরণ্য : পুরো পার্ক খুজে পাই নাই। খুজতে
খুজতে আমি ক্লান্ত।
নীলিমা : আমি কিচ্ছু জানি না। আমাকে ফুচকা এনে দিতেই হবে। পার্কের বাহিরে গিয়ে
খুঁজো পেয়ে যাবে।
অরণ্য : আমি এখন যেতে পারব না। খুব
ক্লান্ত লাগছে বললাম না।
নীলিমা : তুমি সবসময় এমন করো। আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলো।
অরণ্য : আরে পার্কের আশেপাশেও কোনো ফুচকার দোকান নাই।
নীলিমা : চুপ করো। থাক তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না। ফুচকা খাবো না।
নীলিমা অভিমান করেছে। এটাকে অভিমান
বলা যাবে না রাগ বলতে হবে। অভিমান
জিনিসটা একটু ঢঙ্গী হয়। যাই হোক রাগ
ভাঙ্গাতে যাব না,তাহলে ঢং শুরু হবে।
মেয়েদের ঢং দেখতে একটুও ভাল্লাগে না।
তাই উঠে দাঁড়িয়ে হাটা শুরু করলাম।
নীলিমা : এই কোথায় যাও? (কাঁদো কাঁদো স্বরে)
অরণ্য : চলে যাচ্ছি।
নীলিমা : চলে যাচ্ছ মানে? আমি রাগ করে
বসে আছি। কোথায় তুমি আমার রাগ ভাঙ্গাবে,তা না করে বরং তুমি আমাকে রেখেই চলে যাচ্ছ।
অরণ্য : হ্যা,তুমি বসে থাক তোমার রাগ নিয়ে।
আমি গেলাম।
আরো জোড়ে হাটা শুরু করলাম। পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি নীলিমাও আমার পিছু পিছু আসতেছে। বেচারি হীল পড়ে হাটতে পারছে না তারপরও আমাকে ধরার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
পার্ক থেকে বের হয়ে ডানে-বামে না তাকিয়েই
হাটা শুরু করলাম।
নীলিমা : এই দাড়াও প্লিজ। আমি হাটতে পারছি না। রিক্সা নাও প্লিজ।
অরণ্য : হীল পড়ে হাটা যায় নাকি? জুতা
খুলে হাঁটো।
জানি মেয়েটা খুব জেদি। তাই হাতে জুতা নিয়েই আমার পিছু নিলো।
কিছুটা পথ এগুতেই হটাৎ বৃষ্টি শুরু হলো, সাথে মেঘ ফাটা বজ্রপাত।
পিছনে তাকিয়ে দেখি আসলে বজ্রপাত এর থেকে উচ্চস্বরে নীলিমা চিৎকার করছে।
মেয়েটা কালো আধারের মাঝে ঘন বর্ষনকে
ভয় পেয়েছে।
তাই তাড়াতাড়ি নীলিমার কাছে গেলাম। নীলিমার হাতটা ধরলাম।
চারদিকে নীরবতা। বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে নীলিমার সকল অভিমান আর রাগ।
নীলিমা : তুমি আমাকে ফেলে আসতে পারলে? (অভিমানী কন্ঠে)
অরণ্য : সরি। আর ভুল হবে না দেখো কানে ধরছি।
নীলিমা : হু বুঝেছি। আর তুমি আমাকে মিথ্যে বললা কেন? পার্কের বাহিরেই তো ফুচকার
দোকান ছিল।
অরণ্য :আরে পাগলী,আমি যদি ফুচকা কিনে নিয়ে যেতাম তাহলে তুমি পার্কে বসে ফুচকা খেতে। আর আমি যদি রাগ করে হাঁটা না দিতাম তাহলে তুমি এখন দোকানে ঢুকে
ফুচকা খেতে।
তাহলে এমন বৃষ্টি ভেজা মনোরম সন্ধ্যায় ভিজতে পারতে? তাও আবার দুজন একসাথে ভেজার সুযোগ। যেটা তুমি সবসময় চাও।
নীলিমা : আসলেই তো।
নীলিমা আমার বুকে লজ্জায় মুখ লুকায়। আমি ওকে শক্ত করে বুকে চেপে ধরে নিঃশব্দে হাসতে থাকি।
মনে মনে বলি,"বেঁচে গেছি আজ। ভাগ্যিস বৃষ্টি পরা শুরু হইসিলো। কারন আজ
মানিব্যাগটাই বাসায় ফেলে রেখে
এসেছি।"
এখন দুজন বৃষ্টিতে ভিজব আর হাটব।
ফুচকাও খেতে হবে না,রিক্সায় ও উঠতে হবে না।
(চলবে... )
পূর্ববর্তী পোস্টঃ অবশেষে অরণ্য (পর্ব ৫)
No comments:
Post a Comment