উদ্ভট চিন্তাগুলো -- কল্প

কোনো এক কারণে মনটা ভীষণ খারাপ। খুব সম্ভবত গতকালের একটা লেখায় নিজের মাকে রাজকন্যার দরজা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার এই রাজকন্যার সাথে দুই মাস আমি রাগ করে ছিলাম। কথা হয় নি কোনো, যদিও অবস্থান ছিল একই ছাদের নিচে। খুব বেশি রাগ উঠলে কাউকেই সহ্য হয় না। অহেতুক ঝগড়া বাধাই। দুরে ঠেলে দেই নিজেকে।
স্কুল জীবনের সেই মেয়েটা আজকে বাসায় এসেছিল। ১০১ ডিগ্রী জ্বরের কথা শুনে যেখানে ডাক্তাররা হেসে লুটোপুটি খায় সেখানে "হৃদি" নামের এই মেয়েটা ঘরে এসে আম্মুকে আর মনিরকে শাসিয়ে যায়। খুব সম্ভবত এই জন্যই মেয়েটা আমার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফ্রেন্ড।
৪ বছর আগে কোনো এক বাসে যে মেয়েটা আমার পাশে বসে সিলেট যাচ্ছিল ঈদের আগের দিন রাতে খুব করে তার সাথে ঝগড়া করি। সামান্য কথা নিয়ে রেষারেষি। কথা হয়নি সে দিনের পর থেকে। বলতে দ্বিধা নাই যে তাকে খুব মিস করা হচ্ছে ইদানিং।
কোনো একটা তারিখ/মাস/২০১৩ তে রায়ানদের সাথে ঝগড়া করি। কোনো এক ভুলের জন্য সেই মোটা ছেলেটা আমাকে এক মাস সরি বলাইছে। কিন্তু তবুও তার চোখে ক্ষমা সুলভ আচরণ লক্ষ্য করিনি। এরপর বুকে পাথর বেধে একসাথে পুরো ব্যাচ টাকেই সরি বলে আসলাম। হাতঘড়িতে তখন রাত ১২ টা ২৭ হবে, অনুভব করলাম কোনো এক অজানা কষ্ট। গড়িয়ে পড়ল চোখ বেয়ে নোনা জল।
৭ বছর আগের একটা দৃশ্যপট। প্রিয় ফার্মগেটের বাড়িটা ছেড়ে দিচ্ছি। স্মৃতি বিজরিত একটা বাড়ি। শৈশবের কত স্মৃতি কে জলাঞ্জলি দিলাম সেদিন। ৩২ এর কোনো একটা তিনতলায় ঠাই নিতে হবে যে।
স্কুলের সেই ধূসর মাঠ। মাঠ তো সবুজ হয়। কিন্তু সেই মাঠে শুধু ধুলোর ছড়াছড়ি। নামমাত্র ঘাসের বালাই। সাদাপরীদের একজন "শ্রেয়া।" ভীষণ রকমের বই পড়ুয়া। চোখের চশমাটা আমার মতই। কোনো এক ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষখেকো "Zombie" বলে ডাকে আমাকে। একটু আগে মুঠোফোনে তার ছবি ভেসে উঠলো। সামনে নাকি একটা বিপদ আসতেছে। "এক্সাম" শুরু সামনের সপ্তাহে, আমার জন্য বিপদই।
বিনোদন দরকার এখন। নিরামিষ হয়ে গেছে দিনটা, মাসটা ও। আবার মাথা থেকে পরীক্ষার হলের বিভীষিকা দূর করতে হবে। গিটারে হাত দিলাম। কিন্তু কেন জানি বারবার মিনারে'র "সাদা রঙের স্বপ্ন" গানটা গাইতে ইচ্ছে করছে। ছোট্ট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাইয়া (মিনার) নিজ বাসায় বসে এই গানটা লিখে। তার বাবা-মা তাকে বেশ কিছুদিন একটা রুমে বন্দী করে রাখে। সেই বন্দী অবস্থায় অপূর্ব কিউট এই ছেলেটা এই গান লিখে ফেলে। এরপর তো সব তোমাদের জানাই আছে।
বনানী স্টেশনে যাব। অনেকদিন যাওয়া হয় না। সেই ফোকলা দাতের ছেলেটা, খুব সুন্দর কফি বানায় সে। আবার সেই বাসের ছেলেটার কথাও ভুলিনি। কোনো এক বৃষ্টির রাতে যেই ছেলেটার মাকে গালি দিয়েছিল দুইজন আর আমি নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছিলাম। খুজতে বেরুবো আজ সবাইকে।

জীবনমাল্য

লেখক ... .

No comments:

Post a Comment