সেদিন ছিল পূর্ণিমার রাত।নীল বিছানায় শুয়ে আছে,ঘুম আসছে না।যদিও এখন গভীর রাত,বাইরে অতটা অন্ধকার নেই,পূর্ণিমার আলোতে রাস্তা-ঘাট যথেষ্ট আলোকিত।হঠাৎ করে নীলের ইচ্ছা হল যে সে চাঁদ দেখবে।ঘরের জানালা দিয়ে ভালো মত চাঁদ দেখা যায় না, ছাদ থেকে চাঁদ ভালো ভাবে দেখা যেত, কিন্তু ছাদের তালার চাবি নেই তার কাছে।চাঁদ দেখতে হলে বাইরে বের হয়েই দেখতে হবে।দেরি না করে সে অতি সাবধানে দরজা খুলে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল।কিন্তু কোথায় যাবে জানা নেই। যদিও চাঁদ তো যে কোন খোলা-মেলা জায়গাতেই ভালো মতো দেখা যায়, তবু উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটা শুরু করল নীল।কিছুক্ষণ হাঁটার পর সে সিদ্ধান্ত নিল যে, নবীনবাগ যাবে।নবীনবাগ পুকুরপাড়টা পূর্ণিমা উপভোগের জন্য একেবারে মন্দ নয়। এছাড়া নবীনবাগের দক্ষিণা হাওয়া তার খুবই ভালো লাগে।নীল নবীনবাগের দিকে হাঁটা শুরু করল।রাস্তায় আলো, পথ চলতে ও তেমন সমস্যা হচ্ছে না।ছিনতাইকারীর ভয় ও নেই,কারণ নীলের পকেটে কিছুই নেই, ছিনতাইকারী নিবেই বা কী? আর নীল এমনিতে ও এসব খুব একটা ভয় পায় না।তবে ছুরি, বন্দুক বের করলে যে কেউই ভদ্র ভাবে সব দিয়ে দেয়,নীলকে ধরলে হয়তো সে ও হয়তো সব কিছু দিয়ে দিত,কিন্তু তার কাছে কিছুই নেই।তাই কোন বিপদ,ভয় কিছুই নেই।কিছুক্ষণ পর নিরাপদেই সে নবীনবাগ এলাকায় ঢুকে পড়ল।পুকুরপাড়ে পৌঁছে সে পুকুরের কিনারে বসে পড়ল।পুকুরের পানি এখন টইটম্বুর,পানি ও বেশ পরিষ্কার।পুকুরের আশে-পাশে অনেক গাছপালা,চাঁদের আলোয় ছায়া পড়েছে নীলের,পানিতে আবছা নিজের প্রতিবিম্ব ও দেখতে পাচ্ছে নীল।শুনশান নীরবতার মাঝে কিছুটা ছমছমে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।যদিও নীল তার কিছুই লক্ষ্য করেছে বলে মনে হয় না।পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে মুগ্ধ নয়নে বোকার মত এমনভাবে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে যেন সে কখন ও পূর্ণিমার চাঁদ দেখে নি।
#অমীমাংসিত_চাঁদ।
#কিছু_ভেঙ্গে_যাত্তয়া_স্বপ্ন।
#অতীতের_পিছুটান।
#প্রথম_প্রহর।
#অমীমাংসিত_চাঁদ।
#কিছু_ভেঙ্গে_যাত্তয়া_স্বপ্ন।
#অতীতের_পিছুটান।
#প্রথম_প্রহর।
No comments:
Post a Comment